Contain performance

Sunday, January 1, 2023

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের খুঁজে

 ভোলাগঞ্জঃ

সিলেট পর্যটন এলাকা গুলোর মধ্যে ভোলাগঞ্জ অন্যতম স্থান।



 ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে এলাকায় অবস্থান করে পাহাড় টিলার অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকন   করা যায়। 

ভোলাগঞ্জ সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকার কোম্পানিগঞ্জ এর পাথর কোয়ারি।  প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে বর্তমানে এই স্থানটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক পাশে মেঘালয় পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতি সাথে পাহাড়ি অবিরাম ঝর্ণা ধারা। অপর দিকে পাথুরে নদী এই স্থানটির সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। মেঘালয় পাহাড়ি ঢল থেকে যে নদীটি ভোলাগঞ্জ হয়ে বয়ে চলছ তার নাম ধলাই নদী। পাহাড় থেকে ঝর্ণার ঢলের স্রোতের সাথে বেয়ে নেমে আছে সাদা পাথর। ধলাই নদীর উৎসমুখ এর এই জায়গার নামটি ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট। এর কাছাকাছি আরও দুটো সুন্দর জায়গা রয়েছে উৎমাছড়া ও তুরুংছড়া।ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ করে মনে হবে এ যেন শিল্পীর হাতের নিখুঁত কারুকাজে সজ্জিত এক জায়গা থেকে ঘুরে আসলেন। 

কিভাবে যাবেনঃ

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর দেখতে হলে প্রথম আসতে হবে আপনাকে সিলেটে। সিলেট আম্বরখানা হতে সিএনজি করে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর যেতে পারবেন। জন প্রতি ১৪০-১৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে। সময় লাগবে ১.৩০ মিনিট এর মতন। ভোলাগঞ্জ বাজারে নেমে দশ নাম্বার ট্রলার ঘাটে যেতে হবে। দশ নম্বর ঘাট থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার নৌকা পাবেন। এক নৌকাতে ১০-১২ জন যেতে পারবেন। নৌকা ভাড়া নিবে ১০০০-১২০০ টাকা।সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই গ্রুপ করে নিবেন।গ্রুপ করে নিলে খরচ কম পরবে।

উৎমাছড়া ও তুরুংছড়া যেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে দয়াবাজার।ভোলাগঞ্জ যে নৌকায় যাবেন মাঝিকে বলে রাখলে দয়াবাজার ঘাটে নামিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে নৌকা ভাড়া করার সময় এই বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়াই ভাল হবে। দয়া বজার থেকে জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা ভাড়ায় চলে যাবেন চরার বাজার।চরার বাজার থেকে ১৫-২০ মিনিট হেঁটে চলে যাবেন উৎমাছড়া। যদি তুরুংছড়া যেতে চান তাহলে ৪০-৪৫ মিনিট সময় লাগতে পারে। ইচ্ছে হলে লোকাল বাইকে করেও তুরুংছড়া যেতে পারবেন। 

ফিরতি পথে চরার বাজার -দয়া বাজার, ভোলাগঞ্জ হয়ে চলে আসতে পারেন আম্বরখানায়। ভোলাগঞ্জ এর সাথে উৎমাছড়া ও তুরুংছড়া ঘুরে আসতে চাইলে ৩/৪ ঘন্টা সময় বেশি লাগতে পারে। 

কখন যাবেন ভোলাগঞ্জঃ

প্রকৃতি কন্যা সিলেটে এমনিতেই সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা চলে। তবে তুলনামূলক বর্ষায় আসলে বেশি ভালো হবে কারণ বর্ষায় পানি বেশি থাকে তাই সৌন্দর্য ও বেশি দেখায়। তখন মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতস্বিনী ঝর্ণা, পাথুরে নদী সব মিলিয়ে এক অভাবনীয় মোহনীয় সৌন্দর্যের অনুভূতি। সোজাসাপটা বলতে গেলে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ভ্রমণের উপযোগী সময়। 

কোথায় খাবেনঃ

ভোলাগঞ্জ খাবারের জন্য তেমন কোন ভালো মানের হোটেল নেই বললেই চলে। 


স্বপ্নবাজ বিডি ট্রাভেলস 

মোঃ শওকত আলী (ফাউন্ডার এডমিন)

2 comments:

  1. ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর যাবেন কখন

    ReplyDelete
  2. ভোলাগঞ্জ ইভেন্ট রেডি করেন

    ReplyDelete

Featured Post

লালাখাল নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় এক পর্যটন কেন্দ্র

  লালাখালঃ লালাখাল সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি দূরে অবস্থিত।  একটি পর্যটন কেন্দ্র। জৈন্তাপুর পুর উপজেলায় একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ভারত...

Popular Contain