কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যা সাগরকন্যা নামপও পরিচিতি আছে।
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র। পটুয়াখালী জেলার,কলাপাড়া উপজেলার, লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর অবস্থান। ঢাকা থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ৩০৮ কিলোমিটার। বরিশাল থেকে দুরত্ব ১০৮ কিলোমিটার।
কুয়াকাটা নামের পিছনে রয়েছে আরকানদের আগমনীয় ইতিহাস। কুয়া শব্দটি এসেছে কুপ থেকে। ধরনা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে আরাকানরা এই অঞ্চলে বসবাস স্থাপন করেন। তখন তারা সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে এই অঞ্চলে কুপ খনন করে। সেই থেকে কুয়াকাটা বলা হয়।
১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সমুদ্র সৈকত অন্যতম নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় একটা পর্যটন কেন্দ্র। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এই একমাত্র সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত ভাল মতন উপভোগ করা যায়। সবচাইতে ভালো সূর্যোদয় দেখা যায় সৈকতের গঙ্গামতির বাক থেকে এবং সূর্যাস্ত ভাল মতন দেখা যায় পশ্চিম সৈকত থেকে।
এছাড়াও কুয়াকাটা যেসকল দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলো হল:-
ফাতরার বন, সৈকতের পশ্চিম দিকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল শুরু সেগুলো কে ফাতরার বন বলে।
যা দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে কেওড়া,গেওড়া,ফাতরা,সুন্দরী, গড়ান,গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। সমুদ্র সৈকত ইঞ্জিনচালিতো বোডে ফাতরার বন যেতে ১ ঘন্টা সময় লাগবে।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির : কুয়াকাটা প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে সীমা বৌদ্ধ মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় সায়ত্রিশ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্নরত বৌদ্ধ মুর্তি।
কেরানিপাড়া: সীমা বৌদ্ধ মন্দির এর সামনে থেকেই রয়েছে রাখাইনদের উপজাতি পাড়া কেরানিপারা। এখনকার রাখাইন দের প্রধান কাজ হল কাপড় বুনন করা।
আলীপুর বন্দরঃ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে উত্তরে ৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের সব চেয়ে বড় মাছের আড়ত আলীপুর বন্দর।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরঃ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পশ্চিমে প্রায় ০৮ কিলোমিটার দুরে মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মুর্তি।
গঙ্গামতির জঙ্গল: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব দিকে গিয়ে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল।
Helpful
ReplyDelete