বান্দরবন জেলা থেকে প্রায় ৯ কি.মি দূরে স্বর্ন মন্দির অবস্থিত।
এই স্বর্ন মন্দির বান্দরবন শহরের বালাঘাট এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশের বৃহত্তর মুর্তি এই মন্দিরে রয়েছে। এটি বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মুর্তি। দেবতা পুকুর নামে পরিচিত পুকুর এই পাহাড়ে অবস্থিত। সারে তিনশত ফুট উচ্চতায় এই পুকুরে সব মৌসুমে পানি থাকে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধারণা এটা দেবতা পুকুর তাই সব সময় এখানে পানি থাকে। যদিও এই মন্দিরটা স্বর্ন মন্দির নামে পরিচিত কিন্তু এটাকে অনেকে বুদ্ধ ধাতু জাদি নামে বলে থাকেন। এই মন্দির কে অনেকে মহাসুখ মন্দির ও বলে থাকে। তবে সোনালি রংয়ের কারনে স্বর্ন মন্দির নামে পরিচিত হয়েছে। এই মন্দির তৈরি করতে মায়ানমার থেকে কারিগর এনে তৈরি করা হয়েছে। ২০০৪ সালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। এই মন্দিরে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্য ভ্রমনার্থীদের জন্য টিকিট কেটে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। তবে মন্দিরের মূল অংশে যেখানে মুর্তি বা জাদিটি রয়েছে সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সাথে বৌদ্ধদের আসনে কাউকে বসতে দেওয়া হয় না। সকাল ০৭.৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে তবে সন্ধ্যা ০৬.০০টার পর মুলত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকে। মন্দিরে যাবার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন হাফ প্যান্ট,শর্ট প্যান্ট,লুঙ্গি, অশালীন পোশাক ও জুতা পরে মন্দিরে ডুকতে দিবে না।
এই জাদিটি এখন বৌদ্ধধর্মলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয় বরং দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে অন্য তম আকর্ষণীয় স্পষ্ট এ পরিনত হয়েছে। যদিও এই মন্দিরটি স্বর্ন মন্দির নামে পরিচিত কিন্তু এই মুর্তি আসলে স্বর্ন দিয়ে নির্মিত না। সোনালি রংয়ের কারনে এটাকে স্বর্ন মন্দির নামে পরিচিত। আনুমানিক ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয় এই মন্দির। এই প্যাগোডাটি দক্ষিন - পূর্ব এশিয়ার সেরা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
মোঃ শওকত আলী
স্বপ্নবাজ বিডি ট্রাভেলস (ফাউন্ডার এডমিন)
স্বর্ন মন্দির কি প্রবেশ করা যায়
ReplyDeleteএখন কি প্রবেশ করা যায়
ReplyDeleteযাবেন নাকি
ReplyDelete