Contain performance

Friday, March 10, 2023

খৈয়াছড়া ঝর্ণা ট্রেইল, সীতাকুণ্ড (মিরসরাই)

 বাংলাদেশের পর্যটন খ্যাত দিন দিন মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও আবহাওয়া বৈচিত্র্যময় রুপের। বাংলাদেশ কে রুপের রানী বলা হয়ে থাকে।



 প্রকৃতি জেনো আপন মহিমায় সজ্জিত বাংলার জনপদ। এমনই এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় জনপদের সন্ধানে আমাদের চেষ্টা। 

আজকে খৈয়াছড়া ঝর্ণা ট্রেইল নিয়ে আলোচনা করা হবে। খৈয়াছড়া ঝর্ণা প্রকৃতি দিক থকে এর ভৌগোলিক অবস্থান চট্টগ্রামের মিরসরাই অঞ্চলে। আকার আকৃতির দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা হচ্ছে খৈয়াছড়া ঝর্ণা। এই ঝর্ণাতে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১১ টা ধাপ আছে।এর মাঝে মুলধাপ হচ্ছে ৯ টা। অন্য আর কোন ঝর্ণাতে এখন পর্যন্ত এই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়নি। এই জন্য খৈয়াছড়া ঝর্ণাকে বলা হয় ঝর্ণার রানী।


খৈয়াছড়া ঝর্ণার অবস্থান কোথায়ঃ

খৈয়াছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত। ঢাকা চট্টগ্রাম বিশ্বরোড এর কাছেই এর অবস্থান।

খৈয়াছড়া ঝর্ণায় কখন যাবেনঃ

খৈয়াছড়া ঝর্ণাতে সব সময় কম বেশি পানি থাকে। তবে বর্ষাকালে সব থেকে বেশি পরিমাণ পানি প্রবাহ থাকে। তাই বর্ষাকালে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যাওয়াই উত্তম। তবে ভড়া বর্ষায় অনেক রিক্সি ও বিপদজনক। তাই বর্ষার শুরুতে বা বর্ষার শেষে গেলেই ভালো হয়। তখন আশেপাশের পরিবেশ ও ঝর্ণার সৌন্দর্য মিলিয়ে একটু বেশিই সুন্দর মনে হয়। 

খৈয়াছড়া ঝর্ণা কিভাবে যাবেনঃ

দেশের যে কোন জায়গা থেকে বাসে আসলে আপনাকে নামতে হবে ফেনীতে সেখান থেকে চট্টগ্রামগামী লোকাল বাসে করে খৈয়াছড়া বাজার বড়তাকিয়া নেমে যাবেন। 

অথবা সরাসরি মিরসরাই সীতাকুণ্ড চলে আসতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে আগে থেকে সুপারভাইজার কে বলে রাখবেন আপনি খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাবপন,তাহলে আপনাকে মিরসরাই খৈয়াছড়া বাজারের কাছে আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে সিএনজি অটো করে যেতে পারেন খৈয়াছড়া ঝর্ণায়।

মিরসরাই থেকে খৈয়াছড়াঃ

খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে থেকে সিএনজি নিয়ে চলে যাবেন খৈয়াছড়া ঝিরির কাছে। ভাড়া নিবে ১৩০-১৫০ টাকার মতন।  তবে আপনি চাইলে পায়ে হেঁটে ও চলে যেতে পারবেন। স্থানীয় কাউকে বললেই খৈয়াছড়া ঝর্ণার পথ দেখিয়ে দিবে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে নেমে ১০ মিনিট পূর্ব দিকে হেটে গেলেই রেললাইন দেখতে পাবেন। রেললাইন পাড়ি দিয়ে আরও ১৫-২০ মিনিট হাঁটলেই খৈয়াছড়ার ঝিরির সন্ধান পাওয়া যাবে।

এই ঝিরির কাছে থেকেই মূলত ট্রেকিং শুরু। ঝিরির পথ ধরে ৩০-৪০ মিনিট জংগলের ভিতর দিয়ে হাঁটলেই ঝর্ণার দেখা মিলবে। যাবার পথ একটাই তাই পথ হারানোর কোন ভয় নেই। চাইলে সাথে স্থানীয় কাউকে গাইড হিসাবে নিতে পারেন। গাইড খরচ নিবে ৩০০-৫০ টাকা। তবে গাইড না নিলেও চলবে। কারণ খৈয়াছড়া ঝর্ণা আসা-যাওয়া অনেক পর্যটকের দেখা পাবেন। ঝর্ণার প্রথম ধাপে গেলেই বাকি ধাপগুলি একটু খেয়াল করলেই পেয়ে যাবেন। তবে ট্রেকিং করার সময় সাবধনে ট্রেকিং করবেন, একটু সাবধান হলে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাবেন। অতিরিক্ত মাত্রায় আডবেঞ্চর,হৈ হুল্লোড়, লাফাঝাপি করা, অসাবধানতার করানে অনেক পর্যটক সেখানে দুর্ঘটনায় পরেছে।

খৈয়াছড়া ঝর্ণায় প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০/- 

কোথায় খাবেন?

খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাবার পথে বেশ কিছু খাবার হোটেল দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার মেন্যু অনুযায়ী খাবারের অর্ডার করে ফেরার পথে খেয়ে যেতে পারবেন। এই সব স্থানীয় হোটেলে অনেক স্বল্পমূল্যে খাবার খেতে পারবেন তবুও প্রয়োজনে দাম যাচাই করে নিতে পারেন। তবে মনে রাখা ভাল বিকাল ৫ টার পর এখানকার সব স্থানীয় খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবশ্যই যাবার পথেই যেকোন স্থানীয় হোটেলে খাবার অর্ডার করে যেতে হবে,নয়তো ফিরতি পথে খাবার পাবেন না আর যে হোটেলে খাবার অর্ডার করবেন চাইলে সেখানেই সাথের ব্যাগ রেখে যেতে পারবেন। 

এছাড়া সীতাকুণ্ডের ফিরে এসে সৌদিয়া রেস্তোরা, আপন রেস্তোরা কিংবা আল আমিন রেস্টুরেন্টে পছন্দের খাবার খেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেনঃ

আপনি চাইলে চেয়ারম্যান এর বাংলতে থাকতে পারেন, অথবা সীতাকুণ্ড বাজার বা চট্টগ্রাম শহরে চলে আসতে হবে।


মোঃ শওকত আলী 

স্বপ্নবাজ বিডি ট্রাভেলস (ফাউন্ডার এডমিন)

3 comments:

  1. তথ্য বহুল আলোচনা

    ReplyDelete
  2. খৈয়াছড়া ঝর্ণা যাবেন কখন

    ReplyDelete
  3. ঝর্ণার রানী খৈয়াছড়া

    ReplyDelete

Featured Post

লালাখাল নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় এক পর্যটন কেন্দ্র

  লালাখালঃ লালাখাল সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি দূরে অবস্থিত।  একটি পর্যটন কেন্দ্র। জৈন্তাপুর পুর উপজেলায় একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ভারত...

Popular Contain